ভানুময় চন্দ ( আসাম ) : আসামের পাথারকান্দির পাথারিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন দস্যুদের দাপট।কেটে নিল দশটি সেগুন গাছ।তদন্তে ডিএফও।গত কয়দিন ধরে পাথারকান্দি বনবিভাগের অধীন লক্ষীপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাথারিয়া পাহাড়ের চইলতাগোল এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বন দস্যুরা।ফলে এখানকার পাহাড়ী বনজ সম্পদ তছনছ হচ্ছে।জানা গেছে সম্প্রতি একদিকে যেমন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভূমি দখল করেছ ভূূূমি মাফিয়ারা অন্যদিকে বন দস্যুরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।গত কয়দিনে এখানকার পাহাড়ী জমি দখল করে শুপারি বাগান গড়ে তোলার পাশাপাশি বেশকটি মুল্যবান সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে বন দস্যুরা।এমন খবরে স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা গর্জে উঠলে তদন্তে নামে বন বিভাগ।এতে প্রথমে লক্ষীপুর বিটকর্তা ফকরুল ইসলাম উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকটি অবৈধ সুপারি বাগান নষ্ট করে দেন।পরে বিষয়টি ডিএফও পর্য্যন্ত পৌছায়।জানা গেছে বিটকর্তার গোপন যোগসাজে এখানে বৃক্ষ ছেদন চলছে।এমনকি বিটকর্তা স্থানীয় পাহাড়ী জনজাতীর লোকদের সাথেও জুলুমবাজি করছেন।তিনি বিনা প্ররোচনায় তাদের সুপারি বাগানও কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।এমন নালিশ স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের কাছেও পৌছানোর খবর পাওয়া গেছে।এদিকে খবরটি পেয়ে আজ সরজমিনে তদন্তে নামেন বন বিভাগের জেলাস্তরীয় শীর্ষ কর্তা ডিএফও জে নুর।তিনি আজ দলবল নিয়ে লক্ষীপুরে উপস্থিত হয়ে প্রায় দশটি চুরিকৃত সেগুন গাছে সরকারি ভাবে সিলমোহর মারেন।এবং বিষয়টি নিয়ে গভির উদ্বেও প্রকাশ করেন।এদিকে স্থানীয় রেঞ্জকর্তা দেবজ্যোতি নাথ জানান যে কর্মি স্বল্পতা সহ বিভাগীয় গাড়ির অভাবের সুযোগে বন মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠার চেষ্টা করছে।তবে সেদিন তারা সাতটি সেগুন গাছ কেটে নিলেও নিয়ে যেতে পারেনি।পরে চুরিকৃত গাছগুলোকে সোনাতোলা এলাকার এক জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।